শারমিন খানম :: কে এই কাজী জামাল ? বাংলাদেশ সরকার গাজীপুরকে ভূমিহীন ঘোষনার পরও প্রকাশ্যে চালাচ্ছে ভুমিহীনদের নামে ঋণদান সমিতি, আর সমিতির অন্তরালে দিনরাত চালাচ্ছে জুয়ার আসরসহ মাদক ব্যবসা। যেনো দেখার কেউ নেই। কাজী জামাল নিজেকে দলীয় নেতা এবং স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের বন্ধু পরিচয় দিয়ে রেজি: নং-০৭৭৯ “ভুমিহীন একতা কল্যাণ সমিতি’র” অন্তরালে প্রকাশ্যে দিনরাত চালিয়ে যাচ্ছে জুয়ার আসরসহ করছে রমরমা মাদকের ব্যবসা। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গাজীপুরকে জেলাকে ভূমিহীন ঘোষনার পরও কি করে টঙ্গীর ৪৫ নং ওয়ার্ডের বউবাজার এলাকায় বহিরাগত ভাড়াটিয়াদের সমন্বয়ে “ভুমিহীন একতা কল্যাণ সমিতি’র নামে সরকারী রেজি: নং-০৭৭৯ নিয়ে এবং ৩ রুম বিশিষ্ট অফিস ভাড়া নিয়ে দলীয় নেতাদের ছবি টানিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে দিনভর ওইসব রুমে চালিয়ে যাচ্ছে জুয়ার আসর। সেই রাতের অন্ধকারে চলে জুয়াসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য কেনাবেচা এবং সেবনের আড্ডা। কাজী জামাল যদিও এলাকার ভাড়াটিয়া তথাপি স্থানীয় নেতাদের প্রভাব দেখিয়ে এবং নাম বিক্রি করে নিজেকে সরকার দলীয় নেতা এবং টঙ্গীর শীর্ষ নেতাদের কখনো ক্লাসমেট কখনো ছোট বেলার বন্ধু পরিচয় দিয়ে বেশ দাপটের সাথে দীর্ঘদিন এই ব্যবসাটি চালিয়েছেন স্থানীয় সমীর বেপারীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে। বিষয়টি জানা-জানির পর সেখানে স্থান না পেয়ে স্থানীয় রিপন খানের বউবাজার সংলগ্ন বাড়ি ভাড়া নিয়ে অনেকটা খোলামেলা চালিয়ে যাচ্ছেন জুয়াসহ মাদকদ্রব্য ব্যবসা।
বিষয়টি জানতে কাজী জামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, আমাকে এত বড় একটা অফিস ভাড়া দিতে হয়, এজন্য টাকার প্রয়ােজন, দরিদ্র ভুমিহীন লোকগুলো এখানে রাতে ঘুমান, তারা ১০/২০ টাকা দিয়ে কাট খেলেন, এটা দোষের কি হলো। আমার বাড়িওয়ালা, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সকলেই জানেন। আমি সমীর বেপারীর বাড়ি ছেড়ে দেয়ায় তারা আমার পিছে লেগেছে। আমাকে কদিন পরপর থানা পুলিশ ডিবি ধরে আবার ছেড়েও দেয়, স্থানীয় থানা পুলিশ এবং এলাকার সাংবাদিকরা নিয়মিত যাতায়াত করেন। কারো সাথে আমার বৈরিতা নেই। আমি আগে টিউশন করে চলতাম, এখন এই সমিতির প্রায় দেড়শ সদস্য নিয়ে কাজ করি। বহুবার ডিবি ও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছি। স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত সবাইকে ম্যানেজ করেই চলি। আমার নামে লেখালেখি করে লাভ নেই। এমপি আমার ক্লাসমেট, এলাকার প্রভাবশালী নেতাদের অেনেকই আমার বন্ধু, প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আমার উঠাবসা বুঝতেই পারছেন।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় এক নেতার বাড়িতে ভাড়া থাকা সুবাধে একই অবস্থায় জুয়া চালাতেন। এখন রিপন খানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে “ভুমিহীন একতা কল্যাণ সমিতি’র নামে অফিস করার অজুহাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ছবি ঝুলিয়ে আরো খোলামেলা জুয়া চালাচ্ছেন। রাতভর চলে জুয়াসহ মাদক সেবন এবং বেচাকেনা। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না, তার একটি নিজস্ব পান্ডা বাহিনীও । এসবের প্রতিবাদ করলে ওইসব পান্ডা বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হয় প্রতিবাদকারীদের উপর।
তাছাড়া “ভুমিহীন একতা কল্যাণ সমিতি’ নামমাত্র উপদেষ্টা রয়েছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। এসব নেতাদের অনেকেই দাবী করেন, আমরা এ সমিতি র্স্পকে জানি না বা কাজী জামাল নামে কাউকে চিনি না। কাজী জামাল জানান, আমার এ সংগঠনের উপদেষ্টা হলেন গাজী সালাউদ্দিন। তাকে জিগ্গেস করলে আমার সর্ম্পকে জানতে পারবেন। এ ব্যাপারে গাজী সালাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাজী জামাল কে আমি চিনিই না, আর “ভুমিহীন একতা কল্যাণ সমিতি’ এই নামটা আজই প্রথম শুনলাম। এ ব্যাপারে স্থানীয় আওমীলীগ নেতা কবির উদ্দিন বেপারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাজী জামাল আমার ছোট ভাই সমীর বেপারীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে সমিতির আড়ালে জুয়া খেলা চালাতো আর প্রায়ই স্থানীয় পুলিশসহ ডিবি পুলিশ বাড়িতে আসার কারণে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। সে অনেকবার ধরা পড়েছে, আবার ছাড়াও পেয়েছে। এসব বেপারে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কাজী জামাল অপপ্রচার করছে।