May 9, 2024, 5:01 pm

দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি : সিআইডি প্রধান

Reporter Name
  • আপডেট Saturday, April 27, 2024
  • 11 জন দেখেছে

দৈনিক বিজয়বাংলা ডেস্ক :: পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, ফরেনসিকের বিষয়ে বিশেষায়িত শিক্ষার জন্য আমাদের দেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সাউথ এশিয়ার মধ্যে শুধু ভারতে আছে। আমরা চেষ্টা করছি ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার জন্য। ফরেনসিকের ওপর আপাতত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করা এখন সময়ের দাবি। ঢাবির বর্তমান উপাচার্যের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আশা করছি সহসা এ ব্যাপারে একটা উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হবে। আজ শনিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কমব্যাট সাইবারক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯১ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৫৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনসহ মোট ২৪৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপস বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (পদোন্নতিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তৌহিদুল ইসলাম, ডিজিটাল ফরেনসিক বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল ফরেনসিক বিভাগের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল হক, প্রশ্নোত্তর পর্বে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আইএনটিআই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. খান সরফরাজ আলী। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন ও ফরেনসিক) তানভীর হায়দার চৌধুরী সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য দেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারাজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।
সাইবার নিরাপত্তায় করণীয় সম্পর্কে সিআইডির পরামর্শ–
১. সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম সবসময় আপডেট রাখুন।
২. অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সব জায়গায় শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
৪. অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার সেনসিটিভ তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকুন।
৫. কখনোই স্প্যাম ই-মেইলের অ্যাটাচমেন্ট খুলবেন না।
৬. স্প্যাম মেইলের কোনো লিংক এবং অবিশ্বস্ত কোনো ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।
৭. সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে না হলে কখনোই কোথাও বা কাউকে ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না।
৮. আপনি কোন ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিট করেন সেই ইউআরএল নিয়ে সতর্ক থাকবেন।
৯. আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টের ওপর নজর রাখুন।
১০. আপনার নিকটাত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে জানান এবং তা থেকে পরিত্রাণের উপায়গুলো শেয়ার করুন।
১১. পাবলিক নেটওয়ার্ক (ফ্রি ওয়াইফাই) ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
১২. নিজের ব্যতীত অন্যের ডিভাইসে কোনো অ্যাকাউন্ট যেমন ফেসবুক, ইমো, ইন্সটাগ্রাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লগইন করলে ব্যবহার শেষে অবশ্যই লগআউট করবেন।
১৩. এসএমএসের মাধ্যমে যদি পরিচিত কারো বিপদের কথা বলে টাকা চায় তাহলে টাকা দেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নেবেন।
১৪. আপনার ডিভাইসে অজানা কোনো লগইন আছে কি না তা যাচাই করুন।
১৫. থার্ড পার্টি অ্যাপস ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।
১৬. পরিবর্তিত আইএমইআই মোবাইল সেট ব্যবহার করা হতে বিরত থাকুন।
১৭. টু-ফ্যাক্টর অথেনটিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
১৮. কাউকে পিন কোড/পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না।
সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ–
সিআইডি সাইবার ইউনিট- মোবাইল- ০১৭৩০৩৩৬১৯৭/০১৩২০০১০১৪৮

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও খবর