নিজস্ব প্রতিবেদক :: গাজীপুরের সালনায় কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা এবং নিহতের মা ও তিন বোনকে মারাত্মকভাবে জখম করার ঘটনায় প্রধান আসামি গৃহশিক্ষক মো. সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গাজীপুরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাবেয়া আক্তার নামে এক কলেজছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে গৃ্হশিক্ষক সাইদুল। বাধা দিতে গেলে এ ঘটনায় তার মা বিলকিস বেগম ও ছোট বোন খাদিজাকে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনায় আসামি সাইদুল ইসলামকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর সাইদুল জানিয়েছে, ভিকটিমকে হত্যার পূর্বপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৭ মে ২০২৩ তারিখ বিকালে স্থানীয় বাজার থেকে ৬৫০ টাকা দিয়ে গরু জবাই করার একটি ছুরি ক্রয় করে। পর দিন ভিকটিমের বাসায় গিয়ে তার রুমে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায়, গলায়, হাতে এবং পায়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে তার মা ও দুই বোন দৌড়ে তার ঘরে গিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাদেরকেও ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
গত ৮ মে রাতে মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই কলেজছাত্রীর মা ও বোন আহত হয়েছেন। নিহত কলেজছাত্রীর নাম রাবেয়া আক্তার (২৩)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকার আবদুর রউফের মেয়ে। এ ঘটনায় তার মা বিলকিস বেগম ও ছোট বোন খাদিজাকে গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।