শামীমা খানম :: গাজীপুরের টঙ্গীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই নারীর নাম লাবনী আক্তার। গত ২৪ শে এপ্রিল টঙ্গী মধুমিতা গার্লস স্কুল রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। গত শুক্রবার পূর্ব থানায় মামলা হলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে উত্তরখান ও টঙ্গী থেকে। গ্রেপ্তাররা হল লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার মধ্য কেরুয়া গ্রামের খোরশেদ আলম, একই এলাকার আলমগীর হোসেন ও ঢাকার উত্তরখান থানার মাস্টারপাড়া এলাকার নূর হোসেন।
মামলার সূত্রে জানা যায় ,ভুক্তভোগী ওই নারী তার উত্তর খানের বাসা থেকে মিরপুর বোনের বাসায় যাওয়ার জন্য বের হলে রাস্তায় খোরশেদ আলম এর সাথে দেখা হয়। খোরশেদ আলম পেশায় একজন ফার্মাসিস্ট, মহিলাকে ডাক্তারি সেবা ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে টঙ্গী বাজারের দোতলায় আলভী লেডিস বোরখার দোকানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। ভুক্তভোগী মহিলা চাকরি নেওয়ার প্রলোভনে টঙ্গী গার্লস স্কুল রোড ওমর ফারুকের বাড়ির অষ্টম তলার সাত তলায় আলমগীরের রুমে নিয়ে খোরশেদ ও আলমগীর জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে নূর হোসেনকে খবর দিয়ে নিয়ে গেলে তিনিও তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ঘটনাস্থলে বাড়িওয়ালা ওমর ফারুক মহিলা কে ৩৫০০ টাকা দিয়ে কোনো রকমে বিদায় করেন। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানা একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ধর্ষক আলমগীরের আত্মীয় কালাম ও বাড়িওয়ালা ওমর ফারুক ঐক্যবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকার লোক মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ধর্ষক এর পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এটি একটি সাজানো নাটক। অন্যদিকে মাস্টারপাড়া এলাকাবাসী জানান, খোরশেদ আলম আগে থেকে খারাপ প্রকৃতির লোক এই ন্যাকার জনক ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা সকলেই।