নিজস্ব প্রতিবেদক সিদ্ধিরগঞ্জ :: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ‘টেনশন গ্রুপ’ ও ‘ডেভিল এক্সো গ্রুপ’ নামে দুই কিশোর গ্যাংয়ের ১৭ সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব-১১। আজ সোমবার দুপুরে র‍্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক মেজর সানরিয়া চৌধুরী। এর আগে রবিবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন টেনশন গ্রুপের লিডার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রাইসুল ইসলাম সীমান্ত (২২), সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকার মো. তাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬), সানারপাড় এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. হুমায়ুন হোসেন (২৪), মিজমিজি নাদা পাড়া এলাকার মো. আমিন উদ্দিনের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৬), নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকার খোকন শেখের ছেলে মো. রাব্বি (২৫), সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে প্রিতম রোবায়েতি ইসফাক (২৯), ডেভিল এক্সো গ্রুপের লিডার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিকের অপর ছেলে মো. সারিব (১৯), একই এলাকার হারুনের ছেলে মো. আশিক (১৯), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. নাঈম (১৯), আজাদ শিকদারের ছেলে মো. তুহিন হোসেন (১৮), খন্দকার মোহাম্মদ নুরুল্লাহর ছেলে রোসমান (১৯), বাক্কির ছেলে মো. শাহাদৎ (১৯), তাজুল ইসলামের ছেলে মো. সৌরভ (২০), নুর নবীর ছেলে মো. মাহিন (২০), ইমান আলীর ছেলে মো. তুষার (২০), নবীর হোসেনের ছেলে মো. সৌরভ (১৯) ও আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আরিফ (১৯)।
সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, গত বছরের ৩১ আগস্ট, ৫ এবং ৬ সেপ্টেম্বর নাসিক এলাকায় মধ্যরাতে পরিচিত কিশোর গ্যাং টেনশন গ্রুপের নেতা সীমান্ত ও তার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এছাড়াও তাদের সক্রিয় এলাকায় উঠতি বয়সি ছাত্রদের টার্গেট করে মাদকদ্রব্য সেবনে প্ররোচিত করে তাদের গ্রুপে যোগদান করিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
আটককৃত ‘টেনশন গ্রুপ’ এবং ‘ডেভিল এক্সো’ গ্রুপের আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ‘টেনশন গ্রুপ’ এর দলনেতা এবং মো. সারিব ‘ডেভিল এক্সো গ্রুপ’ এর দলনেতা।
আটককৃত আসামিরা রাস্তায় চলাচলরত জনগণের মালামাল ছিনতাই, বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, মালবাহী ও যাত্রীবাহী পরিবহনে নিয়মিতভাবে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে থাকে। আসামিরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে শক্তির মহড়া বা দাপট প্রদর্শন করে জনমনে ভয়-ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী তাদের হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
র‍্যাব আরও জানায়, ‘টেনশন গ্রুপ’ এর দলনেতা রাইসুল ইসলাম সীমান্ত এবং সদস্য মো. প্রিতম রোবায়েতি ইসফাক ও ‘ডেভিল এক্সো’ গ্রুপ এর সদস্য মো. আশিক এবং মো. নাঈমের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।