শামীমা খানম :: করেন সুদের টাকার ব্যবসা। বিভিন্ন সমিতি এনজিও এর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সুদে নিয়ে সেই টাকা আবার বিভিন্ন ভুক্তভোগী হতাশাগ্রস্থ অসহায় মানুষদের কাছে উচ্চ সুদে দিয়ে ব্যবসা করে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আফসার হোসেনের মেয়ে আফরোজা আক্তারের নামে। একই ব্যক্তির নামে একই থানায় গত চার মাসে তিনটি অভিযোগ এইভাবে বিভিন্ন মন্ত্রী ,এমপি, পুলিশ প্রশাসন এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী লোক দিয়ে থানার অভিযোগের কাগজের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা আফরোজার নতুন কোন ঘটনা নয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ ই ফেব্রুয়ারি রহিমা আক্তার নামে অভিযোগ করে যে অভিযোগের আয়ু ছিলেন এসআই শফিকুল ইসলাম, টঙ্গী পূর্ব থানা। অভিযোগে বলা ছিল ছেলে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে রহিমা আক্তার আফরোজার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। অভিযোগের সততা প্রমাণ করার জন্য এসআই শফিকুল ইসলাম ভুক্তভোগী রহিমাকে থানায় ডেকে একটি সমাধানের মাধ্যমে করে দেন দেড় লক্ষ টাকার গত ৯ বছরের সুদ হয়েছে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। গত মার্চ মাসেও ২০ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছেন বলে জানান রহিমা আক্তার। এক মাস যেতে না যেতেই আফরোজা আক্তার আবারই টঙ্গী পূর্ব থানায় রহিমা আক্তারের নামে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। এস আই ইয়াসিন আরাফাতের নামে। সেখানে আফরোজা উল্লেখ করেন সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি রহিমা আক্তার কে ফ্লাট কেনার উদ্দেশ্যে। পুরো অভিযোগই মিথ্যা ,বানোয়াট ,অসত্য ,ভিত্তিহীন যা অভিযোগই প্রমাণ মিলেছে।
এ বিষয়ে টঙ্গি পূর্ব থানার এস আই ইয়াসিন আরাফাতের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ,আফরোজা একটি অভিযোগ করেছে আমি এর সততা যাচাই করছি। একদিকে সুদের টাকার লাভ দিতে দিতে রহিমা আক্তার নিঃস্ব অন্যদিকে দারোগা পুলিশ ও মন্ত্রীর এমপির ভয় দেখিয়ে আফরোজা বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে রহিমা আক্তার কে। রহিমা আক্তারের মত এলাকায় লাকি আক্তার যার কাছেও সুদে টাকা লাগিয়েছিলেন নগদ দুই লক্ষ টাকা, একই বিষয় নিয়েও টঙ্গি পূর্ব থানায় আফরোজা আক্তার অভিযোগ করেন লাকির নামে, যেখানে থানা পুলিশ সুদের টাকা সততা পেয়ে আফরোজা আক্তার কে থানা থেকে বের করে দেন। থানা থেকে কোনো সুযোগ সুবিধা করতে না পারায় অবশেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি মহোদয়ের কাছে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে ওসি আশরাফুল ইসলামের ফোনে দেন তার অভিযোগ নেওয়ার জন্য। ওসি আশরাফুল ইসলামের কথা মতে আফরোজা আক্তার সুবিধা করতে না পেরে অবশেষে মিথ্যা অভিযোগ করেন ফ্ল্যাট কেনার কথা বলে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন রহিমা আক্তার। ঘটনার সততায় ভুক্তভোগী রহিমা আক্তার ও লাকির কাছে বক্তব্য নিলে জানা যায়, গত ১৫ বছর আগের দেড় লক্ষ টাকার সুদে আসলে দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। সমাজের অসহায় নিরীহ মানুষদেরকে এভাবে টাকা সুদে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করা সুদখোর এই আফরোজা আক্তার বিচার দাবি করছে ভুক্তভোগী সহ এলাকার সকলেই।