May 19, 2024, 9:38 pm

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো একজন সৎ ও সাহসী নেতা খুবই প্রয়োজন : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক

Reporter Name
  • আপডেট Tuesday, May 7, 2024
  • 11 জন দেখেছে

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে টঙ্গীর হায়দারাবাদ এলাকায় নিজ বাড়িতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দারাবাদ এলাকায় নিজ বাড়ির প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণসভায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মুহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আতাউল্লা মন্ডল। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলালীগসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন অর্জন ও কৃতিত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, ব্যক্তি জীবনে আহসান উল্লাহ মাস্টার সাধারণ জীবন-যাপন এবং সাধারণ মানুষের প্রতি যে আন্তরিক ছিলো সেই বিষয়টি তরুণ প্রজন্মকে তার আদর্শকে ধারণ করার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করার পর গাজীপুরবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল সেটা ছিল একটা নজিরবীহীন আন্দোলন। যারা আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, সেই দলের নেতারা আজ বলে যে দেশে নাকি গণতন্ত্র নাই। এই দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আজকের সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নজীরবীহীন উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন যেন না থাকে এজন্য আমাদের মহান নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। যারা আজকে বলে দেশে নাকি গণতন্ত্র নাই, তারা দেশের উন্নয়ণের অগ্রযাত্রাকে ধ্বংস করতে চায়। আজকের এই দিনে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো একজন সৎ ও সাহসী নেতা খুবই প্রয়োজন।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে গাজীপুরে যে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছিল সেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আহসান উল্লাহ মাস্টার সোচ্চার ছিল। তিনি তার জীবনকে বাজী রেখে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করেছেন। রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে লড়াই সংগ্রাম করে গিয়েছিলেন। তিনি বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের হাতে অনেক নির্যাতিত হয়েছেন। তাই তারা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার পরিকল্পনা অংশ হিসেবেই প্রকাশ্যে জনসভায় তাকে গুলি করে হত্যা করে।
তিনি বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টারের কি অপরাধ ছিল? অপরাধ একটাই ছিল এই সময় তারা মনে করেছিল আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো নেতৃত্ব এই এলাকায় যদি থাকে তাহলে তাদের সেই অন্যায়, অত্যাচার, অপকর্ম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী নির্বিগ্নে চালিয়ে যেতে পারবে না এবং তার হত্যার দুই মাস আগে আওয়ামীলীগ আহ্বানে হরতাল ছিল, সেই হরতালেও তিনি যখন বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিল তখন তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল। সেইদিনও তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেইদিন যারা ব্যর্থ হয়েছিল তার দুই মাসের মধ্যেই তাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ ছিলেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার। আজকের এই দিনে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার একটা নীলনকশার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেই সারা বাংলাদেশের মানুষকে ওপর কিভাবে নির্যাতন করা শুরু করেছিল। বিএনপি জামায়াত শুধু মাত্র নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার কারণে মানুষের ভিটেমাটি, গড়বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একের পর এক সারাবাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সবচাইতে জনপ্রিয় যে নেতা যার ডাকে যেকোন সময় যেকোনো মুহুর্তে হাজার হাজার নেতাকর্মী একত্রিত হতো তাদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়েছিল। সেই চক্রান্তকারীরাই হত্যা করেছিল শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো একজন আদর্শবান মানুষ পাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার। আহসান উল্লাহ মাস্টার যেকোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। এজন্য সেইসব অপশক্তি বিএনপি জামায়াত জোট সরকার যারা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গীবাদ ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের সমাজকে কুলশিত করে এই দেশটাকে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাই তারা পরিকল্পনা করেছিল শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে কিভাবে হত্যা করা যায়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলীয় এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও খবর