May 20, 2024, 5:31 pm

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের তরুণ সমাজ আগামীতে এগিয়ে আসবে : হাফিজ উদ্দীন আহমদ

Reporter Name
  • আপডেট Saturday, March 30, 2024
  • 23 জন দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমদ বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ সাধারণ মানুষের যুদ্ধ। যা শুরু করেছিল ছাত্র-সৈনিক ও যুবকের দল। কিন্তু আজ সবকিছুর কৃতিত্ব নিতে চায় আওয়ামী লীগ। যাই হোক সবকিছুর এক শেষ আছে। এই ব্যাংক লুট, গণতন্ত্র হত্যা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতিকে অবসানের সময় হয়ে গেছে। তবে এই দায়িত্ব বিএনপিকেই নিতে হবে। বিএনপি অনেক করেছে। আর কত করবে? আন্দোলনকালে ২২ জন এবং কারাগারে ১৬ জন ক্ষমতাসীনদের নির্যাতনে মারা গেছেন। আমি বলবো মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের তরুণ সমাজ আগামীতে এগিয়ে আসবে।
শনিবার সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। জেডআরএফ’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডক্টরস অ্যাসোসিশেয়ন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, জেডআরএফর স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ।
এ সময় অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ড. মফিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন এবং জেডআরএফ’ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে মেজর হাফিজ বলেন, যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির কথা শুনি তখন খুব বেদনার্ত হই। আওয়ামী লীগ তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা চেয়েছিল পাকিস্তানের অখণ্ডতা। অন্যদিকে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন একজন সৈনিক মেজর জিয়াউর রহমান। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং যুদ্ধ করার আহ্বান জানান। একইসাথে তিনি নিজেও রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। দু’বার স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জিয়াউর রহমান। দেশবাসী যখন একটি বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর শুনতে চেয়েছিলেন সেটিই প্রমাণ করেছিলেন মেজর জিয়া। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্র-যুবক বৃদ্ধ সবার ভুমিকা ছিল। অনেক ছাত্র সরাসরি যুদ্ধ করে প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। আজকে দেশে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। জীবনের নিরাপত্তা নেই।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও খবর