মো: মুর্শিকুল আলম :: গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে যোগ দিতে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। আগামী শুক্রবার বাদ ফজর থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে আজ বুধবার সকাল থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমা আসা শুরু করেছেন। বাস, ট্রাক, পিক—আপে করে মুসল্লিরা আসছেন। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিদের ইজতেমা ময়দানে আসতে দেখা গেছে।
নরসিংদী থেকে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন সফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে তারা ২৭ জনের একটি তাবলীগ জামায়াত ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। খুব ভোরে মিনিবাসে করে রওনা দিয়েছিলেন। সময় যত ঘনিয়ে আসবে ভিড় ততই বাড়বে, তাই খুব ভোরের শীত উপেক্ষা করে মিনিবাসে করে ভোগান্তি ছাড়াই ইজতেমা ময়দানে এসেছেন।
দিনাজপুর থেকে ২৩জনের তাবলীগের সাথী নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন আমজাদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, সমাজের মসজিদের ১৩জনের সাথী নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ইজতেমায় ময়দান প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। ইজতেমা পরিচালনা করার জন্য ময়দানসহ বাদবাকী সব কিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে। মুসল্লিরা গতরাত থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। সকালের দিকে মুসল্লি আসার সংখ্যা বেড়েছে। সারাদিনে মাঠ ভরে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটের একাধিক টিম দায়িত্বে থাকবে।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম জানিয়েছেন, এবারের ইজতেমায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের ছয় সহস্রাধিক সদস্য ছাড়াও র্যাব, ডিএমপি এবং সাদা পোশাক ও গোয়েন্দা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ইজতেমা এলাকায় কোনো প্রকার অবৈধ দোকান এবং হকারদের অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।