নিজস্ব প্রতিবেদক :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক মেধাবি ছাত্রকে কারসাজির মাধ্যমে এএইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল দেখানোর অভিযোগ উঠেছে কলেজ শিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে। খবরনিয়ে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মেধাবি শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম। সে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। উচাখিলা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০২২ ইং সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসিতে সকল বিষয়ে এ প্লাস পেয়ে কৃতকার্য হয়। পরে ঈশ্বরগঞ্জ সরকারী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন। একাদশ শ্রেণি থেকে দ্বাদশে উত্তীর্ণ হন ভাল ফলাফল করে। কিন্তু নির্বাচনী টেস্ট পরীক্ষা দিলে তার ফলাফল আসে সকল বিষয়ে অকৃতকার্য বা ফেল।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থী মর্মাহত হয়ে কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ এনে উত্তরপত্র পুরায় দেখার আবেদন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।
এ অবস্থায় দ্বাদশে টেস্ট পরীক্ষা দেওয়ার পর ফলাফলে দেখা যায় মাহফুজ সকল বিষয়ে ফেল করেছেন। এ ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে মাহফুজ খাতা দেখার দাবি করে অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ফরম পূরনের সর্বশেষ তারিখ থাকার পরও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি।মাহফুজ অভিযোগ করে জানান, কলেজে তার ক্লাশ রোল-৭২৯। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন সময় তাঁর সামনের বেঞ্চের এক শিক্ষার্থীর খাতা নিয়ে যান ইংরেজি শিক্ষক শহীদুল ইসলাম মামুন। এ ঘটনা দেখে তিনি মুচকি হাসলে ঘটনাটি দেখে স্বজোরে তাঁকে থাপ্পর দেয় ওই শিক্ষক।
এ ঘটনার পরও তিনি পরীক্ষা শেষ করে শিক্ষক মামুনের কক্ষে গিয়ে থাপ্পর মারার কারন জানতে চান। এতে আরও ক্ষিপ্ত হন ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষক মামুন। পরে এ বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে বিচার চান। এতেও ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকী দেন ওই শিক্ষক। পরদিন ফের পরীক্ষার সময় বিনা অপরাধে খাতা টেনে নিয়ে গেলে বেশ কয়েকবার অনুনয়-বিনয় করেও কাজে আসেনি। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষের নির্দেশে খাতা দিলেও অনেক সময় পাড় হয়ে যায়। গত ২৫ এপ্রিল টেস্টের ফলাফল প্রকাশ করলে দেখা যায় মাহফুজ সকল বিষয়ে ফেল করেছেন। বিষয়টি কোনো ভাবেই মানতে না পেরে অধ্যক্ষের দ্বরাস্থ হয়েই কোনো সুরাহা না পেয়ে গত ২৭ এপ্রিল খাতা দেখার দাবি করে প্রথমে অধ্যক্ষের কাছে ও পরদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক শহীদুল ইসলাম মামুন জানান, বেয়াদবি করার কারনে তিনি ওই দিন শিক্ষার্থী মাহফুজকে একটু শাসন করেছিলেন। তবে এই জন্য তাকে উদ্দ্যেশ্য মূলক ভাবে ফেল করানো হয়নি।এব্যাপরে ইউএনও’র কাছে শিক্ষকের বিচার দাবি করলে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেন।