শামীমা খানম :: গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বড় দেওড়া এলাকায় থরে থরে পাহাড়ের মত সাজানো, বিভিন্ন জাতের ফ্রুট, ম্যাংগো জুস আর বিভিন্ন কোমল পানীয়। দেখে বোঝার উপায় নেই আসল না নকল। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি বাড়ির ভিতরে এই কারখানাটি গড়ে তোলেন । নামে বিভিন্ন ফুটো, ম্যাংগো হলেও এই জুস তৈরি করা হয় কাপড়ের রং ও বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে সঙ্গে ব্যবহার করা হয় আটা, চিনির বদলে স্যাগারিন। প্রতিদিন কারখানাটি থেকে ৪ হাজার বোতল তৈরি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা জানান, বিভিন্ন কারখানায় অভিযান চালানো হলেও ইয়াম্মি কারখানায় কোন অভিযান চালানো হয়নি। এই কারখানায় দীর্ঘদিন অবৈধ ভাবে কাজ চালিয়ে আসছে।
কারখানায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল পরিসরে চলছে নকল পণ্য তৈরির মহাউৎসব। শুধু জুসই নয়, এখানে তৈরি করা হয় বিভিন্ন নকল চকলেটও। এই কারখানার মাল বিক্রি হয় রাজধানী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বি.এস.টি.আই. এর কর্মকর্তা জানায়, জরিমানা ও সিলগালা করা হয় হবে অচিরে।
আরো জানায়, ‘এই খাদ্য পণ্য কোমলমতি শিশুরা না জেনেই খাচ্ছে। এগুলি খাওয়ার কারণে বাচ্চারা ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে নকল জুস, ট্যাংক, টেস্টি স্যালাইন, চকলেট, চানাচুর বিস্কুটসহ নানান রকমের শিশু খাদ্যে তোরীর অবৈধ কারখানা। এসব কারখানা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা প্রায়ই অভিযান চালিয়ে জেল জরিমান করছে। কিন্তু তারপরও বন্ধ হচ্ছে না। আরো করা নজর দেওয়ার আহবান জানান প্রশাসনের ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তারা।
এদিকে ইয়াম্মি ফুড এন্ড বেভারেজ এর তত্ত্বাবধায়ক নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক জানান, কথিত কিছু নামধারী কয়েকজন সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি পরিচয় দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে এই অবৈধ ভেজাল খাদ্যের কারখানাটি। অচিরেই ভেজাল খাদ্যের এই কারখানাটি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকার স্থানীয় লোকজন।