নিজস্ব প্রতিবেদক :: ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ থানার মাইজবাগ ইউনিয়নের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে কুশিপাড়া গ্রামের আশরাফুল আলম সোহেল (২৪) কে, কাজী রায়হান (২২) গত ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭ টায় সোহেলের বাড়ীর দক্ষিন পাশে কাঁচা মাটিয়া নদীর পাড়ে কৌশলে ডেকে নিয়ে ঘাড়ের পেছনে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যাকরে ফেলে রেখে বাড়ীতে চলে যায় ।
এ ঘটনায় ২৮ অক্টোবর ইশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয় । চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটি জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভুইয়া ডিবিকে ছায়া তদন্তের নিদের্শন দেন।
ওসি ডিবি ফারুক হোসেন তার টিম নিয়ে মাঠে নামেন এবং ২৮ অক্টোবর বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ইশ্বরগঞ্জের শিমুলতলী বাজার থেকে আসামী কাজী রায়হানকে গ্রেফতার করে। ঘটনার বিবরনে পুলিশ জানতে পারে ভিকটিম সোহেল ও আসামী কাজী রায়হান উভয়েই দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিলেন। আসামী টাইলস মিস্ত্রীর কাজ করতো। গত ২ মাস পূর্বে সোহেলের কাছ থেকে কাজী রায়হান ৭০ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছিলেন সুদের উপর।আসামী বিভিন্ন সময় হাওলাত ও সুদের টাকা কিছু কিছু করে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করেন। টাকা পরিশোধের পরও সোহেল মিয়া আসামী কাজী রায়হানকে কিছু টাকা ধার করে এনে দিতে বলেন। প্রয়োজনে কিডনী বিক্রি করে টাকা এনে দিতে ভয়ভীতি দেখায়। এতে আসামী রাগে, ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে সোহেল মিয়াকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে । হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে সহযোগীতা করেন ডিবির ওসি ফারুক হোসেনের সাথে এসআই মোজাম্মেল হক, রেজাউল আমীন বর্ষন ও পরিমল চন্দ্র সরকার।