May 19, 2024, 3:36 am

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন গীতিকার ও কাহিনিকার রফিকউজ্জামান

Reporter Name
  • আপডেট Friday, March 15, 2024
  • 34 জন দেখেছে

বিনোদন প্রতিবেদক :: সংস্কৃতি বিভাগে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক-২০২৪ পাচ্ছেন বিশিষ্ট গীতিকার, লেখক ও চলচ্চিত্রের কাহিনিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান সেই সৌভাগ্যবানদের একজন। আজ শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক) জাহেদা পারভীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের নাম জানা গেছে।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত অন্যরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর); বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান; চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ; ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন; সমাজসেবা/জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এস.এম. আব্রাহাম লিংকন।
এর আগে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। এছাড়া পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-দ্য ডেইলি স্টার জীবনের জয়গান উৎসব আজীবন সম্মাননা, চ্যানেল আই পুরস্কার এবং বাংলাদেশ ফিল্মক্লাব পুরস্কার।
১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের লক্ষ্নীপুরের ফুরসুন্দিতে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। তার পৈতৃক বাড়ি যশোরের সদর উপজেলার খড়কীতে। তার বাবার নাম শাহাদাত আলী এবং মায়ের নাম সাজেদা খাতুন।
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান যশোর জিলা স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন (এসএসসি), সরকারি মাইকেল মদুসূদন মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ বেতারে চাকুরিতে যোগ দেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এখানে চাকুরি করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে লন্ডনের চ্যানেল এস-এ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন এবং ২০০৭ সালে বৈশাখী টেলিভিশনে অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন।
১৯৬৫ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত গীতিকার হিসেবে কাজ করছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। ইতোমধ্যে তার প্রকাশিত গানের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি নিয়মিত চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখছেন। শতাধিক চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখেছেন তিনি।
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান রচিত কিছু উল্লেখযোগ্য গান হলো- সেই রেললাইনের ধারে মেঠো পথটার পারে দাঁড়িয়ে, বন্ধু হতে চেয়ে তোমার শত্রু বলে গণ্য হলাম, দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক, আমার মত এত সুখি নয় তো কারও জীবন, ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়, আমার মন পাখিটা যা রে উড়ে যায়, পদ্ম পাতার পানি নয়, দিন যাপনের গ্লানি নয়, মাঠের সবুজ থেকে সূর্যের লাল, কিছু কিছু মানুষের জীবনে ভালোবাসা চাওয়াটাই ভুল, মনটা সবাই দিতে পারে আমি তোমায় প্রাণটা দিতে চাই।
আরও আছে- আকাশের সব তারা ঝরে যাবে, যদি মরনের পরে কেউ প্রশ্ন করে, আমার বাউল মনের একতারাটা, দোয়েল পাখি গান শুনিয়ে ঘুম ভাঙ্গায়, চির অক্ষয় তুমি বাংলাদেশ, স্বাধীনতা তোমার জন্য যে পারে বইতে, ওই সূর্য বলেছে আমাকে, ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেলেও তবু, যেখানে বৃষ্টি কথা বলে, রিটার্ন টিকেট হাতে লইয়া আইসাছি এ দুনিয়ায় ইত্যাদি।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও খবর