May 3, 2024, 1:57 am

শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের হামলায় নিহত ৮০ : হামাস

Reporter Name
  • আপডেট Monday, November 20, 2023
  • 45 জন দেখেছে

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক :: গাজার উত্তরাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে স্থানীয় সময় শনিবার ইসরাইলের চালানো দুই দফা হামলায় ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হামাসের স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তা। এই শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলও ছিল। স্কুলটি ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে গৃহহীনদের আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করেছে এএফপি। এসব ভিডিওতে আবাসিক ভবনের মেঝেতে রক্ত ও ধুলামাখা অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গেছে। এদিকে উত্তর গাজা এলাকার পর এখন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর ছাড়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। আর গাজা শহরের প্রধান হাসপাতাল ছেড়ে শনিবার শত শত মানুষ চলে গিয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রোগীও আছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে। এদিকে হামাস বলছে, ইসরাইলের সেনাবাহিনীর বিমান ও স্থল অভিযানে ১২ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি শিশু। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস গাজায় হামলায় হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করার পর লাখ লাখ মানুষ সেখান থেকে পালিয়ে খান ইউনিসে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনীর নতুন নির্দেশনার ফলে ধারণা করা হচ্ছে যে, দক্ষিণ গাজা এলাকাতেও খুব তাড়াতাড়ি অভিযান শুরু করা হবে। ইসরাইল জানিয়েছে, হামাসকে একেবারে নির্মূল করে ফেলাই হচ্ছে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
শনিবার খান ইউনিসের একটি বাড়িতে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ওই ঘটনার বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল। কিন্তু খান ইউনিসে লিফলেট বিতরণ করেছে ইসরাইল। সেখানে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন উপদেষ্টা মার্ক রেজেভ বলেছেন, ‘আমরা মানুষজনকে অন্যত্র চলে যেতে বলছি, কারণ আমরা চাই না বেসামরিক মানুষজন ক্রসফায়ারে পড়ে মারা যাক।’ তিনি বলেছেন, ভূগর্ভস্থ টানেলে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে ওই শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার দরকার হতে পারে ইসরাইলি বাহিনী।
আল-শিফার কয়েকজন মেডিকেল কর্মকর্তা বলেছেন যে, তাদের চলে যেতে বলা হয়েছিল, কিন্তু ইসরাইল তাদের এই দাবির বিরোধিতা করেছে। গোলাগুলির মধ্যে অনেক মানুষকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেকার পথ দিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও খবর