স্পোর্টস ডেস্ক :: বল হাতে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ৪২ রানে তারা জিম্বাবুয়ের পাঁচ উইকেট তুলে নেয়। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে ব্রায়ান বেনেট ও জোনাথন ক্যাম্পবেলের জুটিতে সফরকারীরা ঘুরে দাঁড়ায়। তাতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে তারা। বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৩৯ রান। আগের ম্যাচে দারুণ প্রত্যাবর্তন করা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শেষ ওভারে ১৮ রান দেন। প্রথম দুই ওভারে ৬ রান দেওয়া এই পেসার চার ওভার বোলিং শেষে দিয়েছেন ৩৭ রান।
বেনেট ও ক্যাম্পবেল ৪৩ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। তাতেই সম্মানজনক স্কোর গড়ে জিম্বাবুয়ে। ২৯ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৪৪ রান করেন বেনেট। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন অভিষিক্ত ব্যাটার ক্যাম্পবেল। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ও রিশাদ দুটি করে উইকেট নেন।
তাসকিনের শেষ ওভারে পড়লো সপ্তম উইকেট
১৯তম ওভারে বল হাতে নিয়ে তাসকিন আহমেদ পেলেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। লুক জংবে বাউন্ডারির সামনে ক্যাচ দেন তাওহীদ হৃদয়কে। ১২০ রানে ৭ উইকেট পড়লো জিম্বাবুয়ের।
সম্ভাবনাময় ইনিংস খেলে আউট ক্যাম্পবেল
জিম্বাবুয়ের সাবেক তারকা ক্রিকেটার জোনাথন ক্যাম্পবেল অভিষেকে দারুণ এক ইনিংস খেললেন। চার-ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৮তম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে থামতে হলো ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে। ২৪ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৪৫ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যাচ হন এই ব্যাটার। ব্রায়ান বেনেটের সঙ্গে ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন ক্যাম্পবেল। ১১৫ রানে ৬ উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে।
রিশাদের জোড়া উইকেটের পর মেহেদীর আঘাত
দশম ওভারে রিশাদ হোসেন বল হাতে নিয়ে প্রথম তিন বলে দুটি উইকেট নেন। সিকান্দার রাজাকে লিটন দাসের ক্যাচ বানান ৩ রানে। তারপর ক্লাইভ মাদান্দে ক্যাচ দেন তানজিদ হাসান তামিমকে। ডাক মারেন তিনি।
পরের ওভারে শেখ মেহেদী হাসান ১৩ রানে ক্রেইগ আরভিনকে প্যাভিলিয়নে পাঠান। ১৬ বলে ১৩ রান করে লিটনের ক্যাচ হন জিম্বাবুয়ে ব্যাটার। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে। একই ওভারে ষষ্ঠ উইকেট পড়তে পারতো তাদের। অভিষেকে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা জোনাথন ক্যাম্পবেলের সহজ ক্যাচ ছাড়েন উইকেটকিপার জাকের আলী। ১ রানে জীবন পান ক্যাম্পবেল।
১১ ওভারের খেলা শেষে ৫ উইকেটে ৪৫ রান সফরকারীদের।
সাইফউদ্দিন ফেরালেন জিম্বাবুয়ের ওপেনারকে
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিজের প্রথম ওভারে ৪ রান দেন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে তুলে নিলেন উইকেট। ওপেনার জয়লর্ড গাম্বিকে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানান তিনি। ৩০ বলে ১ চারে ১৭ রান করেন জিম্বাবুয়ান ব্যাটার। ৭.১ ওভারের খেলা শেষে ৩০ রানে ২ উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে।
পাওয়ার প্লেতে ২২ রান দিলো বাংলাদেশ
পাওয়ার প্লেতে দারুণ বোলিং করলো বাংলাদেশ। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছে তারা। শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আঁটসাঁট বোলিং করেন।
রিভিউ নিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙলো বাংলাদেশ
চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙলো। তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তাদিওয়ানাশে মারুমানি ৪ বলে ২ রানে আউট হলেন। ১৫ রানে প্রথম উইকেট পেলো বাংলাদেশ। ৪ ওভারে ১ উইকেটে ১৫ রান জিম্বাবুয়ের।
শরিফুল, মেহেদীর আঁটসাঁট বোলিং
শরিফুল ইসলাম প্রথম ওভারে বল হাতে নেন। মাত্র ২ রান নেয় জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি। দ্বিতীয় ওভারে শেখ মেহেদী হাসান দেন মাত্র ১ রান।