May 3, 2024, 7:26 am

পদ্মা সেতু রেল সংযোগের উদ্বোধন মঙ্গলবার

Reporter Name
  • আপডেট Monday, October 9, 2023
  • 64 জন দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ::  স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে বাস চলাচল করছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এবার খুলছে রেল চলাচলের পথ। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-মাওয়া অংশের ৭৭ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধন হচ্ছে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর)। এ দিন মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গা স্টেশনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি। রেলের সর্ববৃহৎ এই প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রত্যেকটি স্টেশনকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উদ্বোধনী ট্রেনটিও সাজানো হয়েছে রংবেরঙের ফেস্টুন ও ফুল দিয়ে।

২০১৬ সালের ১ জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। ঢাকা-ভাঙ্গা অংশ আগামীকাল মঙ্গলবার উদ্বোধন হলেও যশোর পর্যন্ত সম্পূর্ণ পথ চালু হবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে তিনটি স্টেশনে—মাওয়া, পদ্মা (জাজিরা) ও শিবচরে ট্রেন থামার ব্যবস্থা থাকছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক ট্রেন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চালানো হয়। পরের দিন চালানো হয় মালবাহী ট্রেন। ইতোমধ্যে ১২০ কিলোমিটার গতিতেও এ রুটে ট্রেন চালানো হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি।

অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক (ঢাকা-ভাঙ্গা) ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন ঘিরে আইন-শৃঙ্খলাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে এখন শুধু ঢাকা-ভাঙ্গা পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে।ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের কাজের অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, এখন শুধু কিছু স্টেশন ও সিগন্যালিংয়ের কাজ বাকি আছে।

অন্যদিকে যশোর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৩ শতাংশ। আগামী বছরের জুনে যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথ খুলে দেওয়া হবে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রেলপথ নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা সরাসরি যুক্ত হবে। এ রেলপথের মাধ্যমে নতুন চারটি জেলা মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইলে রেল সংযোগ স্থাপিত হবে। একইসাথে আন্তঃদেশীয় রেল যোগাযোগে ঘটবে বিপ্লব। ঢাকা থেকে সরাসরি কলকাতা যোগাযোগ নিশ্চিত হবে। আর আখাউড়া আগরতলা রেলপথের মাধ্যমে ভারতের দুই নগরী কলকাতা ও আগারতলার দূরত্ব কমে আসবে মাত্র ৫৫০ কিলোমিটারে।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও খবর