শামীমা খানম :: গাজীপুর মহানগর টঙ্গীতে স্কুল শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছেলের পরিবারের দাবি ২০ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় মেয়েদের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি টঙ্গী পূর্ব থানায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান সবুজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি টঙ্গীর রাইসিং সান একাডেমির কেমিস্ট্রি , ম্যাথ, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। দীর্ঘ দুই বছর যাবত ওই শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক। শিক্ষার্থী ছিলেন দশম শ্রেণীর ছাত্রী।। ওই সম্পর্কের জেরেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীর পরিবার মেহেদী হাসান সবুজের নামে।
রাইজিংসান একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান , তারা বিষয়টা জানতে পেরে সাথে সাথেই থানা পুলিশকে জানান । এরপর থানা থেকে পুলিশ এসে মেহেদিকে গ্রেফতার করে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেহেদী হাসানের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান, স্কুল থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি আরো জানান ,তার স্কুলের বাহিরে কোচিং সেন্টারের ভিতরে মেহেদী হাসানের সাথে তার শিক্ষার্থীর কি হয়েছে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। উপরোক্ত ঘটনা পুরো টঙ্গীতে তোলপাড় হলেও বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের কোন অভিভাবকরা জানে না তাদের কাছে এক প্রকার ধামাচাপা দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রধানগন।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান সবুজের বড় ভাই আবুল কুদ্দুসের সাক্ষাৎকার নিলে তিনি জানান, তার ভাই মেহেদী হাসানের কোন দোষ নেই ।দীর্ঘদিন যাবত ওই মেয়ে বিরক্ত করে আসছে মেহেদী হাসানকে তার সাথে বিয়ে বসার জন্য। অবশেষে মেহেদী হাসানের সাথে অন্য মেয়ের বিয়ের কথা শুনে নাটকীয়ভাবে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করার পরিপ্রেক্ষিতে ওই টাকা না দেওয়াই মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় তাদেরকে হেনস্তা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়ের পরিবারের সকল সদস্যরা।। স্কুল প্রতিষ্ঠান শিক্ষকগণ হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভরসাস্থল ।ওই স্থানে যদি ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সম্পর্ক কি হবে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীসহ অভিভাবকরা সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিচারের দাবী জানান।