নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :: ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় সরকার বিরোধীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। কোথাও কোথাও থেমে থেমে এখনও সংঘর্ষ হচ্ছে। সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিএনপি ও সমমনা দলের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকরাও। দুপুরে কাকরাইলে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায়।
কাকরাইল, পুরান পল্টন, আরামবাগ, দৈনিক বাংলা মোড়, শান্তিনগর, সেগুন বাগিচা, বিজয়নগর, আরামবাগ এলাকা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ। দুপুর ১টার দিকে কাকরাইল এলাকায় মসজিদের কাছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাড়ির সামনের রাস্তায় সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়ে পুলিশ। পরে তা নাইটিঙ্গেল মোড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তা বিজয়নগর এলাকায় বিস্তৃত হয়।
সংঘর্ষের সময় কাকরাইল চার্চের কাছে একটি পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও আরেকটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়। বেলা ৩টার দিকে পুলিশ নাইটিঙ্গেল মোড়ে অবস্থান নেয়। এসময় নয়াপল্টন ও শান্তিনগরের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছোড়া হয়। এক পর্যায়ে নয়াপল্টন ও শান্তিনগরের দিক থেকে বিএনপির কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ধাওয়ায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকা থেকেও বিএনপির লোকজন সরে যায়। ৩টার দিকে পুরান পল্টনে পুলিশ অবস্থান নেয়। সেসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করে। পরে ফকিরাপুল, আরামবাগ, সেগুন বাগিচা এলাকায়ও সংঘর্ষ হয় পুলিশ এবং বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে।