May 17, 2024, 7:25 am

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে

Reporter Name
  • আপডেট Thursday, November 23, 2023
  • 42 জন দেখেছে

বিনোদন প্রতিবেদক :: দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। লাগাতার হরতাল-অবরোধসহ রাজনৈতিক নানা অস্থিরতার কারণে থেমে গেল সিনেমা মুক্তি। এরই মধ্যে একে একে সিনেমা মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দিচ্ছেন প্রযোজক ও নির্মাতারা। ১৭ নভেম্বর মুক্তির কথা ছিল ফুয়াদ চৌধুরীর ‘মেঘনা কন্যা’।
শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মুক্তির তারিখ ও প্রিমিয়ার শো পিছিয়ে দিয়েছেন তিনি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো বদরুল আনাম সৌদের ‘শ্যামা কাব্য’ ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’। আগামীকাল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সিনেমা দুটির। দুই নির্মাতাই জানান, দেশের এমন উদ্বেগজনক অবস্থায় সিনেমা মুক্তি দিতে চান না তাঁরা।
পরিচালক বদরুল আনাম সৌদ বলেন, ‘দেশে হরতাল-অবরোধের মাঝে বিভিন্ন জায়গায় নাশকতামূলক ঘটনা ঘটছে। এই নাশকতার কারণে আমরা মানুষদের হলে আসার আহ্বান জানাতে পারছি না। তাই মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।’ সরকারি অনুদানে নির্মিত শ্যামা কাব্য সিনেমার কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। আরও আছেন ইন্তেখাব দিনার, নওরীন হাসান খান জেনি, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ।
স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা সিনেমার পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বলেন, ‘দেশের এই অস্থিরতার মধ্যে ঝুঁকি নিতে চাইছি না। তাই সিনেমা মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারির দিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা ছাড়াও আনন্দ অশ্রু নামে আমার আরেকটি সিনেমা তৈরি আছে। সেটিও আগামী বছর সুবিধাজনক সময়ে মুক্তি দিতে চাই।’স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা সিনেমায় অভিনয় করেছেন আদর আজাদ, নিশাত নাওয়ার সালওয়া প্রমুখ।
আগামী মাসেও প্রতি সপ্তাহে দুটি করে সিনেমা মুক্তির কথা রয়েছে। তালিকায় আছে ‘মানিকগঞ্জের মানিক প্যালেস’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘রৌদ্রছায়া’, ‘তালমাতাল’, ‘রাগ করে রাঙামাটি’, ‘নকশি কাঁথার জমিন’, ‘জিম্মি’, ‘কসাই’, ‘পদ্মাপাড়ি’ ও ‘ডেঞ্জার জোন’। প্রদর্শক সমিতি থেকে তারিখ নিলেও সেই নির্মাতারাও আছেন সংশয়ে। এমন অস্থির সময়ে সিনেমা মুক্তি দিতে চাচ্ছেন না কেউ। গত কয়েক বছরে দেশের সিনেমা হলের সংখ্যা কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন সিনেমা মুক্তি না পাওয়া হল ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। গাড়িও কম থাকে রাস্তায়। হল খোলা থাকলেও দর্শক পাওয়া যায় না। তাই নতুন সিনেমা মুক্তি দিতে চাচ্ছেন না নির্মাতারা। এমনিতেই দুই ঈদ ছাড়া সিনেমা হলে দর্শকের ভিড় দেখা যায় না। এর মাঝে হরতাল-অবরোধে হল ব্যবসায়ীদের অবস্থা আরও শোচনীয়। সিনেমা হলগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।  হল না থাকলে দর্শক বিনোদনের জন্য কোথায় যাবে? আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হোক।’

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও খবর