May 19, 2024, 1:51 pm

টঙ্গীতে জামদানি পল্লীতে রকমারি ডিজাইনের শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরা

Reporter Name
  • আপডেট Sunday, April 9, 2023
  • 201 জন দেখেছে

মো: মুর্শিকুল আলম, গাজীপুর :: পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাজীপুর মহানগরীর গুটিয়া এলাকার জামদানি কারিগররা। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে তৈরি করছেন বাহারি এবং রকমারি ডিজাইনের জামদানি শাড়ি। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এক সময় তাঁত শিল্পের দেখা মিললেও বর্তমানে টঙ্গীর গুটিয়া এলাকায় অল্পসংখ্যক এই শিল্পের দেখা মেলে। এখানকার তাঁত শিল্পীদের সুনাম রয়েছে দেশ বিদেশের জামদানি শাড়ি পরুয়া নারীদের কাছে। তবে বর্তমানে বাজারে নকল জামদানি সহজলভ্য হয়ে ওঠায় এবং আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় ও শাড়ি তৈরির কাঁচা মালের দাম বেশি হওয়ায় তারা লাভ করতে পারছে না বলে জানান তাঁত শিল্পের মালিকরা। তাই এইসব মালিকরা বাজার ব্যবস্থাপনা, আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা ও তাঁত শিল্প রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টঙ্গীর গুটিয়া এলাকার জামদানি পল্লীর বটবৃক্ষশোভিত গ্রামের প্রবেশ মুখে পা দিতেই কানে ভেসে আসে তাঁত যন্ত্রের খটখটাখট শব্দ। এক সময় এ গ্রামে ৩ শতাধিক পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস ছিল এই তাঁতকল। সে সময় জামদানি শাড়ির বাণিজ্য ছিল রমরমা। কিন্তু ভারতীয় শাড়ির অবাধ প্রবেশ, শিল্পায়ন ও শ্রমিক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে এ শিল্প এখন অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবুও জামদানি ঐতিহ্যের শেষ স্মারক হিসেবে ওই গ্রামে এখন ২০টি ঘরে প্রস্তুত হয় জামদানি শাড়ি। উৎপাদিত শাড়ির বুনন কৌশল, টেকসই ও নজরকাড়া ছাপের কারণে এর সুনাম রয়েছে। প্রতিটি শাড়ি তৈরিতে কারিগরদের ৭শ টাকা দিতে হয়। এরপর রকমভেদে জামদানি শাড়ি ১৫শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা দরে রাজধানীর মিরপুর জামদানি পল্লিতে বিক্রি করা হয়। কারখানায় কর্মরত জামদানি কারিগর মোনছের আলী, আলাউদ্দিন, জজ মিয়াসহ কয়েকজন জানান, পৈতৃক পেশা হিসেবে তারা জামদানি শাড়ি তৈরির এ পেশাকে বেছে নিয়েছেন। কালের পরিক্রমায় অন্যান্য পেশার লোকজনের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়লেও তাদের তেমন বেতন ভাতা বাড়েনি। মাসে ৪-৫ দিন বসে থাকতে হয়। চুক্তিভিত্তিক কাজ করে যে আয় হয় তা দিয়ে তাদের কোনোমতে সংসার চলে। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এখন অর্ডার বেড়েছে। ফলে দিনরাত অবিরাম কাজ করতে হচ্ছে তাদের। তাঁত কলের মালিক আতাউর রহমান ও এমরান হোসেন সরকার জানান, তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, বাজারে শাড়ি বিক্রিতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতাসহ সব পক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

টঙ্গী শিল্প নগরীর কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, তাঁতীদের জীবনমান উন্নয়নে জামদানি শাড়ি রক্ষায় বাজার ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি। তবে কোন উদ্যোক্তা যদি কারখানা করতে চায় সে ক্ষেত্রে প্লট বরাদ্দ ও ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে আর্থিক যোগানের বিষয়ে আমরা কাজ করি।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও খবর