স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুরে পরিচ্ছন্নতা কর্মী মো: দুলাল মিয়া (৩৯) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে জিএমপি পুলিশ। ঘটনার ৪ দিন পর জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জিএমপি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, জিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব মুহাম্মদ শামসুর রহমান।
নিহত মো: দুলাল মিয়া নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার চান্দুয়াইল গ্রামের জাফর আলীর ছেলে। তিনি দুলাল মিয়া বাসন থানার দক্ষিণ ভোগড়া এলাকার কারখানায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে চাকরি করত।পুলিশ জানায়, গত ৪ আগষ্ট দুপুরে নিহতের ছোট ভাইয়ের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন দুলাল মিয়া। ওইদিন বিকেলে স্থানীয়রা সিটি করপোরেশনের ভোগড়া এলাকার কারখানা সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত জমিতে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই মো: মাসুম মিয়া বাদী হয়ে ৫ আগস্ট জিএমপির বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তির বিশ্লেষণ ও তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করে পুলিশ সোমবার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন-নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কামারগাঁও গ্রামের মো: দ্বীন ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলাম সাগর (১৮), সুনামগঞ্জের সাললা থানার দামপো গ্রামের মো: সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো: খোকন মিয়া (২৫), একই জেলার মারকলি গ্রামের মো: বরজু মিয়ার ছেলে সাব্বির (২৬)। তারা গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস থাকতো। মোবাইল ছিনতাই ও টাকা পয়সা লেনদেনের বিরোধের জেরে দুলাল মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে বলে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব মুহাম্মদ শামসুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গাজীপুর আদালত পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে হত্যার সঙ্গে আরও জড়িতদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।