ক্রীড়া ডেস্ক :: এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের ফেরার কারণটা সবার জানা থাকলেও সাকিবের বিষয়টা কেউই জানত না। অবশেষে জানা গেল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই তার দেশে আগমন।
সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে মুশফিক ছুটি নিয়েছিলেন। সাকিবের ফেরা নিয়ে ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। অনুমান করা হচ্ছিল, সাকিব বিজ্ঞাপনী কাজে হয়ত দেশে ফিরেছেন। অনুমান সত্যিও হয়েছিল। বিজ্ঞাপনের কাজে তাকে অংশ নিতেও দেখা গেছে। যদিও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি প্রবল গোপনীয়তার সঙ্গে সেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সোমবার সন্ধ্যায় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তিনি।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর সাকিব সংসদে হাজির হন। প্রথমে সেখানে ১৫ মিনিটের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপর বিসিবি সভাপতি সংসদ অধিবেশনে যোগ দিলে সাকিব অপেক্ষায় থাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ ভবনে প্রবেশ করলে ২০ মিনিট পর তার সঙ্গে সাকিবের দেখা হয়েছে। ২০ মিনিট পর প্রধানমন্ত্রীর লবি থেকে সাকিব বের হয়ে যান। অবশ্য, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাকিবের কী আলাপ হয়েছিল, সেটি এখনো জানা যায়নি।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগ থেকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনি। পাঁচ বছর আগেও সাকিব মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। সেবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাকিবকে খেলায় মনোযোগ দিতে বলেছিলেন। চার বছর পরও মত পাল্টাননি। সাকিব আবার মনোনয়ন চাইছেন। তবে এবার কোন আসন থেকে, সেটি জানা যায়নি।
এদিকে এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মুশফিকের সঙ্গে দেশে ফিরেছিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক সাকিব। বিসিবির কাছ থেকে তিন দিনের ছুটি নিয়ে দেশে এসেছিলেন তিনি। দেশে ফিরে ব্যক্তিগত কিছু কাজ সেরে দলের সঙ্গে আবারও যোগ দিয়েছেন তিনি। বুধবার শ্রীলংকায় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। একইদিন দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মুশফিকেরও। কিন্তু পারিবারিক কারণে শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকা যাওয়া হয়নি ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুশফিকের বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানায়, ‘মুশফিক আমাদের জানিয়েছে, তার স্ত্রী এখনো সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। সে জন্য তার স্ত্রী ও সন্তানের পাশে থাকা দরকার। আমরা তার বিষয়টি বুঝতে পারছি। সে জন্য তাকে শেষ ম্যাচ খেলানো থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ইতোমধ্যেই এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। শুক্রবার নিয়মরক্ষার ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।