নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জের বৈরাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের লোকদিয়ে কমিটি গঠনের চেষ্টা,বিদ্যালয়ে নাএসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা, দূর্ণীতি- অনিয়ম, সরকারের বরাদ্ধ কৃত টাকা গোজা মিল দিয়ে আত্নসাতের চিত্র সামনে বেরিয়ে আসে।এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করেন অলিয়ে কামিল আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ সুফি মুহম্মদ হোসাইন আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১৯২৩ ইং সালে।খবর নিয়ে জানাযায় ৩৭ নং বৈরাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসাম্মত খায়রুন নেছা এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে স্কুলকে ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। অফিস রুমের পেছনের অংশে পাওয়া যায়, গ্যাস সিলিন্ডার চুলা, রাইস কুকার, রান্না-বান্নার বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াও প্রধান শিক্ষক খায়রুন নেছা কেটেছেন ইতিপূর্বে সরকারি গাছ ।
এছাড়াও স্লিপের টাকায় দৃশ্যমান কোন কাজ দেখাতে ব্যর্থ হন প্রধান শিক্ষক খায়রুন নেছা। অভিযোগ রয়েছে স্কুলের টাকা আত্মসাৎ করার । এলাকাবাসীরা জানান, স্কুলটিতে দীর্ঘদিন ধরে কোনো ধরণের সংস্কার কাজ করা হয় না।অথচ সরকারের কাছ থেকে সংস্কারে কাজ দেখিয়ে বরাদাা স্যাত স্যাতে স্কুলের ভেতরের অংশ। এলোমেলো মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার। অফিস কক্ষে টানানো রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুরনো ছবি।প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বসানো হয়েছে ছোট একটি রেক্সিনে। নেই কোনো খেলনা সামগ্রী। অথচ প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির জন্য রয়েছে বিশেষ বরাদ্দ। এমন পরিস্থিতিতে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ৪৩ জনের বিপরীতে উপস্থিত ছিলো ১৩ জন ২য় শ্রেণিতে ৩৬ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ক্লাসে পাওয়া যায় ১৪ জন। প্রাক প্রাথমিকে ৩০জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে উপস্থিত নগন্য। সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ২০১৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে গঠণ করেননি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি।
এছাড়াও স্থানীয়রা জানান,ভূয়া ভোটার তালিকা করে পকেট কমিটি করার পায়তারা করছেন প্রধান শিক্ষক খায়রুন নেছা।ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহের বসবাস করেন।সেখান থেকে সময়মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়নি।তিনি ৫দিনের মধ্যে ২দিন আসে।আর বাকি ৩দিন অফিসের কাজের কথা বলে বিদ্যালয়ে হাজির হয়নি। একযুগ ধরে এখানে চাকুরি করছেন।প্রধান শিক্ষক বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিলুফার হাকিম বলেন, এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধান শিক্ষক খায়রুন নেছার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এলাকাবাসীর দাবি দূর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে বদলি করে নীতিবান দক্ষ-কর্মট প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানায় স্থানীয় লোকজন।