মো: জাফর আলী, গাজীপুর :: গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে গত আটদিন যাবত আন্দোলন করে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছে। এরপর শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার গাছা আঞ্চলিক কার্যালয়ে আন্দোলনরত বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এড. মো. জাহাঙ্গী আলম। এই বৈঠকে প্রায় ৪৩টি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকরা যে আন্দোলন শুরু করেছেন তা এরই মধ্যে গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের কারখানাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বনিম্ন মজুরি ২৩ হাজার টাকা দাবি করেছেন। এনিয়ে বোর্ডের আলাপ আলোচনা চলছে। আগামীকাল (আজ) বুধবার ১ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভা অনুষ্ঠিত হবে। আশা করা হচ্ছে মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য মজুরি ঘোষণা করবেন। এ সময়ে শ্রমিকরা কারখানার কাজ বন্ধ রেখে অঘোষিত আন্দোলন এবং ভাঙচুর করলে বেতন বাড়ানোর আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক। তবে আন্দোলনের নামে ভাঙচুর ও নাশকতা যৌক্তিক আন্দোলনকে বিপথে পরিচালিত করে। এ ব্যাপারে শ্রমিক ভাইবোনেরা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। কোনো বহিরাগত শক্তি যেন এর পেছনে ইন্ধন জোগাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সকল শ্রমিকরা যেন কাজে যোগ দেন সেই আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় শ্রমিক নেতা মাসুদ, কফিল উদ্দিন, তমিজ উদ্দিন, শাহজাহান, মো. নজরুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।