দৈনিক বিজয়বাংলা ডেস্ক :: বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। উড়োচিঠির হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, জঙ্গি নয়, আতঙ্ক চিরকুট দিয়ে হুমকি দিয়েছে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে উড়োচিঠি এসেছে তা দেয়া হয়েছে দাজ্জাল বাহিনী নামে। দাজ্জাল বাহিনী নামে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠন নেই। কোনো দুষ্টু পোলাপান অতিউৎসাহী হয়ে চিরকুট লিখছে। নববর্ষকে ঘিরে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রমনার বটমূলে বিশেষ মহড়া করেছে ডিএমপি ও র্যাব।
রাজধানীর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন জানান, মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে উড়ো চিঠিটি আসলে কোনো জঙ্গি সংগঠনের হুমকি নয়, বরং আতঙ্ক ছড়াতে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি এটা করেছেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আমলে নেয়া হচ্ছে না। যে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে, সিভিল টিম রয়েছে, তাই এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। র্যাব মহাপরিচালক বলেন, আজ থেকে নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে সারাদেশে র্যাবের সব ব্যাটালিয়ান মোতায়েন থাকবে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে টিএসসি, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা বটমূলসহ রাজধানীর যেসব স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় সেসব স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত চেকপোস্ট টহল, অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে।
এদিকে মঙ্গল শোভযাত্রা বের করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে বের হওয়ার কথা রয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় জনসমাগম সীমিত রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।