নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া :: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কোনো ভোটার ভোট দিতে পারেনি। দিনের ভোট আগের রাতে দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। বিগত নির্বাচনের মতো শেখ হাসিনা আবারও একটি পাতানো নির্বাচন করতে চান।
তিনি আরও বলেন, বিদেশ যখন বারবার বলছে, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে হবে। মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। আর শেখ হাসিনা তাদের বলছেন, আমার অধীনে নির্বাচন ভালো হয়। এটা মানুষকে তার বোকা বানানোর বুদ্ধি। এবার এদেশের মানুষ তা আর হতে দেবে না। এ কারণেই এক দফা দাবি, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। তা নাহলে কেউ ভোট দিতে পারবে না। আজ রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার আদমদীঘির গোহাট চত্বরে সরকার পতন ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোডমার্চে বগুড়া থেকে রাজশাহী প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন তারা। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বগুড়ার এরুলিয়া হাটখোলা থেকে রোডমার্চ শুরু হয়ে রাজশাহীর মাদরাসা মাঠ সংলগ্ন সড়কে গিয়ে শেষ হবে। এরমধ্যে আদমদীঘি, নওগাঁ ও মান্দা এলাকায় তিনটি পথসভা হবে।
বগুড়ায় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান। এতে যোগ দেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। রোডমার্চে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল এবং স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে অংশ নেন।সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। এ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গী তাদের সমমনা দলগুলো।