December 6, 2023, 11:10 pm

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর প্রথম দিনের কর্মসূচিতে যা থাকছে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট Tuesday, April 25, 2023
  • 141 জন দেখেছে

মো. সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন । সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে শপথ পাঠ করান। পরে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নথিতে সই করেন।

এর আগে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির উপপ্রেস সচিব ইমরানুল হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতির প্রথম দিনের কর্মসূচিতে কী থাকছে জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাষ্ট্রপতিকে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে। এ ছাড়া বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া, দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া, বেলা ১টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেবেন রাষ্ট্রপতি।

সোমবার রাষ্ট্রপতির শপথ ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশ অতিথি ছিলেন। পাশাপাশি নতুন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এক নজরে মো. সাহাবুদ্দিন
মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম চুপ্পু। পিতা শরফুদ্দিন আনছারী, মাতা খায়রুন্নেসা।

সাহাবুদ্দিন ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সাহাবুদ্দিন ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পাবনা জেলার আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মম হত্যার পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন সাহাবুদ্দিন। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে তিন বছর জেল খাটেন এবং অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন।

মো. সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন। তার অনেক কলাম বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা টাইমসেও নিয়মিত কলাম লিখেছেন তিনি।

কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

সাহাবুদ্দিন পরপর দুবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। পরবর্তীকালে ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দুদক কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিন পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে উঠা তথাকথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণেও সমর্থ হন তিনি।

সাবেক এই ছাত্রনেতা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও খবর