দৈনিক বিজয়বাংলা ডেস্ক :: বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কর্মকৌশল নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যেকোন ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে কোনো অপরাধীদের ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি কেউ ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ বুধবার বেলা ৩টার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইজিপি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (০২ মে) বিকেলে বিমান যোগে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন কক্সবাজার পৌঁছেন। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার শহরে ফিরে গণমাধ্যমের সাথে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোন মাদক কারবারিকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিটি অপহরণের বিষয়ে জড়িতদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। অপহরণ কিংবা যেকোন ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে দ্রুত জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করে সহায়তা চাওয়ার অনুরোধ করেন আইজিপি।
মিয়ানমারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘আরসা’ মুক্ত রোহিঙ্গা শিবির কিভাবে করা যায় এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি যেমনি অব্যাহত রয়েছে, তেমনি তাদের (আরসা) বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।
সম্প্রতি ট্রলারে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, এখানে সিআইডি, পিআইবি, র্যাব ও পুলিশ কাজ করেছে। ঘটনার মূল কারণ বের করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউ কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। এ নিয়ে আমরা আরো কাজ করে যাচ্ছি। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন কক্সবাজার থেকে উখিয়ার কুতুপালং ১৯ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ওই ক্যাম্পের ৮ এপিবিএন কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।