নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম :: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করে।বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেন। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস পালন পরিষদের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক শোক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মাসব্যাপী কর্মসুচির শেষ দিনে চট্টগ্রাম বন্দর রিপাবলিক ক্লাবে এ শোক সভা, দোয়া মাহফিল ও জেয়াফতের আয়োজন করা হয়।
মেয়র আরও বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে। জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি মর্যাদাবান ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
মহানগর যুলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবুর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএর সাধারন সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিকের সঞ্চালনায অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকের আহম্মদ খোকন, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আবদুল মান্নান, পতেঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সেকান্দর আজম, বন্দর সিবিএর মোকারম হোসেন, খ ম ইয়াকুব, বীর মুক্তিযোদ্ধা বক্কর হুমায়ুন কবির মুকুট, আবুল হোসেন চৌধুরী, রেজাউল করিম রাজু, যুবলীগ নেতা আনিফুর রহমান লিটু প্রমুখ।